সাম্প্রতিকতম সংযোজন ২০ শে মে, ২০২১
২০২০ সালের মার্চ মাসের ১১ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( ডাব্লিউ এইচ ও ) কোভিড – ১৯ ( নব্য কোরোনা ভাইরাস ) জনিত প্রাদুর্ভাবকে পৃথিবীব্যাপী অতিমারি হিসাবে ঘোষণা করেছে। সমগ্র বিশ্বের পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করেছে, এবং সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়া করোনা ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন রূপ চিহ্নিত হওয়ায় ও কোভিড – ১৯-এর টিকাকরণ প্রোগ্রাম ক্রমশ গতি পাওয়ায় বহু দেশ তাদের ভ্রমণের বিধি নিষেধ এবং / অথবা নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মাবলি ও পদক্ষেপ বৃদ্ধি করছে বা শিথিল করছে।
এই ভাইরাসের বিষয়ে এবং এর সাথে সংগ্রাম করতে সরকার কি কি উদ্যোগ নিচ্ছে সে বিষয়ে সর্বসাধারণকে অবগত করতে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে সাংবাদিকগণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বহু দেশে কর্তৃপক্ষ স্বাধীন রিপোর্টিং ও তথ্য সংগ্রহকে থামিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও সাংবাদিকরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, এমনটাই জানাচ্ছে সিপিজের নথি ও তথ্য। সাংবাদিকদের সঙ্গে সিপিজের আলাপচারিতা থেকে জানা যাচ্ছে যে, সংবাদ মাধ্যমের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ চাপ ও উদ্বিগ্নতার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং তাঁদের ভ্রমণ, সাক্ষাৎকার নেওয়া, এবং যে সকল স্থানে কাজের সূত্রে তারা যাচ্ছেন তাতে প্রায়শই তাদের সংক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে । সেনসরশিপ, আটক, শারীরিক ও অনলাইন হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে সাংবাদিকদের এবং কোভিড – ১৯-এর কারণে তাঁদের জীবন ও জীবিকার বিস্তর ক্ষতি হয়েছে, এমনটাই আলোকপাত করা হয়েছে সিপিজের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে।
করোনা ভাইরাস জনিত অতিমারি কভার করছেন যে সকল সাংবাদিকরা, সাম্প্রতিকতম পরামর্শ, আদেশ ও বিধি নিষেধ সম্পর্কে নিজেদের ওয়াকিবহাল রাখতে ডব্লিউ এইচ ও এবং তাদের স্থানীয় গণ স্বাস্থ্য সংগঠনের দেওয়া তথ্যের দিকে নজর রাখা উচিত। অতিমারির সাম্প্রতিক উত্থান পতন সম্বন্ধে জানার জন্য জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি করোনা ভাইরাস রিসোর্স সেন্টার একটি নিরাপদ ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষিত থাকা
আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধি নিষেধ এবং / অথবা নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম সমূহ ঘন ঘন বদল হচ্ছে। এর অর্থ হল, অল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তি বা কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অ্যাসাইনমেন্ট বদলে যেতে পারে বা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
যে সকল মিডিয়া কর্মীরা টিকা নিয়েছেন তাঁদের খেয়াল রাখা উচিত যে, টিকা নেওয়ার পরও তাঁরা ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন, এমনটাই জানাচ্ছে ইউ এস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ( সি ডি সি ) এবং ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দেওয়ার স্তরের তারতম্য থাকে বিভিন্ন ধরনের টিকার, এমনটা জানিয়েছে ইয়েল মেডিসিন। তাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক পরিধান করার মতো কোভিড – ১৯ সম্পর্কিত নিরাপত্তা মূলক পদক্ষেপ গুলি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে মেনে চলা উচিত।
যারা কোভিড – ১৯ -এর অতিমারি সম্পর্কিত খবর করতে আগ্রহী তারা অবশ্যই নিম্নলিখিত সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্যগুলি বিবেচনায় রাখবেনঃ
প্রাক – নিয়োগ
- যদি পাওয়া যায় ও যদি আপনার জন্য নিরাপদ হয় তাহলে কোনও অ্যাসাইনমেন্টের পূর্বে কোভিড – ১৯-এর টিকা আগাম নিয়ে রাখা বিষয়ে বিবেচনা করুন, বিশেষত সংক্রমণের হার অনেক পরিমাণে বেশি এমন এলাকায় যদি কাজ করতে যান বা যাত্রা করে থাকেন
- আপনার স্থান ও গন্তব্যে সংক্রমণের হার কতটা বেশি সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিবেচনায় রাখুন সংক্রমণ এবং / বা সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকির সম্ভাবনাকে কমাতে সরাসরি ব্যক্তিগত ভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেয়ে ফোনে বা অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেওয়া উচিত কিনা
- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ ( সি ডি সি ) –এর মতে, বয়স্ক নাগরিক এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষদের বিপদের সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। যদি আপনি এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হন তাহলে আপনি কোন ভাবেই সেরকম কোন কাজে নিযুক্ত হবেন না যেখানে আপনাকে সাধারন জনগণের সরাসরি সংস্পর্শে যেতে হয়। গর্ভবতী কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রেখে দেওয়া প্রয়োজন
- কোভিড – ১৯ জনিত অতিমারি বিষয়ে রিপোর্টিং করার জন্য কর্মী নির্বাচন করার সময় নির্দিষ্ট জাতির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য বর্ণবাদী আক্রমণের ব্যাপারটি পরিচালন কর্তা ব্যক্তিদের মনে রাখা উচিত। এমনটাই তুলে ধরেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
- বিশ্ব জুড়ে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধি নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউনের বিষয়টি সামান্য সময়ের বিজ্ঞপ্তি বা কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই জারি হতে পারে। আপনার পরিচালকবর্গের কী পরিকল্পনা আছে আপনাকে সাহায্য করার যদি আপনি তাদের দ্বারা প্রদত্ত কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিন আগাম, এক্ষেত্রে বর্ধিত সময়ব্যাপী সেলফ-আইসোলেশন, এবং / অথবা লকডাউন এলাকা -এর মধ্যে আটকে পড়ার সম্ভাবনার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে
মানসিক সুস্থতা
- কোভিড – ১৯ অতিমারি নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে এমন কি সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাংবাদিকরাও মানসিক ভাবে লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন। এমনটাই জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়টার্স ইন্সটিটিউট। সাংবাদিকরা কী ভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করছে তা জানার জন্য নিয়মিত ভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ও খোঁজ খবর রাখা উচিত পরিচালক বর্গের। যদি প্রয়োজন পড়ে ও যখন প্রয়োজন পড়ে তাঁদের নির্দেশিকা ও সহায়তা দেওয়া উচিত
- কোভিড – ১৯ -এ আক্রান্ত বা সংক্রমিত কোন স্থানে গিয়ে প্রতিবেদন করার সম্ভাব্য মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে রাখুন, বিশেষত যদি কোন চিকিৎসা কেন্দ্র বা বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতি ও পরিবেশ থেকে প্রতিবেদন করতে হয়। অসুস্থ পরিবেশে খবর করতে সংবাদ কর্মীদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাওয়া যাবে ‘দ্য ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা’ –এর মাধ্যম। কোভিড – ১৯ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেরা অনুশীলন সহ বাহ্যিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিসোর্সের জন্য অনুগ্রহ করে আসুন সিপিজের এমার্জেন্সি পেজ-এ
সংক্রামিত হওয়া এবং অপরকে সংক্রামিত করা থেকে বিরত থাকা
বহু দেশ বর্তমানে সামাজিক/ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রক্রিয়াটি অনুশীলন করে চলেছে, যদিও আপনি কোন দেশে রয়েছেন তার উপর নির্ভর করে নির্দেশিত দূরত্ব বিধি বদল হতে পারে। যদি উচ্চতর ঝুঁকি পূর্ণ স্থান যেমন নিম্নে উল্লেখিত যে কোনও জায়গা থেকে রিপোর্টিং করতে হয় তখন যথাযথ প্রয়োজনীয় হাইজিন সংক্রান্ত ব্যবস্থা আছে কিনা তা আগে থেকে খোঁজ খবর নিয়ে নিন। যদি কোনও রকম সন্দেহ থাকে তাহলে সেখানে যাবেন না।
- কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র
- বয়স্কদের দেখভালের জন্য কোনও গৃহ
- কোনও অসুস্থ ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার বাড়ি বা যে সমস্ত মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা রয়েছে
- কোনও কর্মক্ষেত্র যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা বেশি বলে বিবেচনা করা হয় ( যেমন মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট )
- কোনও মর্গ, সমাধি ক্ষেত্র, শ্মশান বা অন্ত্যেষ্টি পরিষেবা
- কোনও কোয়ারান্টাইন, নিভৃতবাস বা লকডাউন এলাকা
- কোন অধিক জনবসতি পূর্ণ শহুরে অঞ্চল ( যেমন বস্তি বা ঘিঞ্জি এলাকা )
- কোনও শরণার্থী শিবির বা জেলখানা / ডিটেনশন কেন্দ্র যেখানে কোভিড – ১৯ রোগী রয়েছেন
সংক্রমন এড়ানোর প্রামাণ্য সুপারিশগুলি হলঃ
- সকলের থেকে সুপারিশকৃত নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে। বিশেষত যদি কেউ শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুখে আক্রান্ত থাকে, যেমন হাঁচি ও কাশি হচ্ছে, এই রকম কেউ আশেপাশে থাকলে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সাংবাদিকগণ যখন বয়স্ক মানুষদের, যারা শারীরিক ভাবে অসুস্থ, যাদের শরীরে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে বা তাদের নিকটাত্মীয় কেউ, যে সকল স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড – ১৯ দ্বারা আক্রান্ত রোগীর সেবা করছেন, অথবা উচ্চ ঝুঁকি পূর্ণ স্থানে কর্মরত মানুষদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন, তখন তাদের অবশ্যই ন্যূনতম সুরক্ষিত দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক
- খোলা ফাঁকা জায়গায় কারও সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি আপনাকে ঘরের মধ্যে গিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রয়োজন না পড়ে তাহলে এমন একটি জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে বাতাস চলাচল করে ( যেমন খোলা জানালা ) এবং ছোট বদ্ধ জায়গা এড়িয়ে চলুন
- সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এক কোণ করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন, মুখোমুখি দাঁড়ানোর পরিবর্তে এবং সুপারিশকৃত নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখেই দাঁড়ান
- আপনার প্রতিদিন, নিয়মানুযায়ী, এবং যথাযথ উপায়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে উষ্ণ জল ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একান্ত প্রয়োজনীয়। হাত শুকানোর পদ্ধতিটি যে যথাযথ হয়েছে তাও নিশ্চিত করতে হবে। কীভাবে হাত ধোয়া ও শুকিয়ে নেওয়া উচিত সে বিষয়ে খুব উপকারী নির্দেশিকা ডাব্লিউ এইচ ও –র ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে
- অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল জেল ব্যবহার করে পরিষ্কার করা যেতে পারে যদি উষ্ণ জল ও সাবান কাছে না থাকে, কিন্তু তার পরে যত শীঘ্র সম্ভব উষ্ণ জল ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ( সি ডি সি –র পরামর্শ হল অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাতে ৬০% এর বেশি ইথানল বা ৭০% এর বেশি আইসোপ্রপানল থাকে )। কোন ভাবেই নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাসের পরিবর্তে শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না
- হাঁচি ও কাশির সময় সর্বদা মুখ এবং নাক ঢেকে রাখা আবশ্যক। যদি কোন টিস্যুতে হাঁচা বা কাশা হয় তাহলে অবশ্যই সেটিকে সঙ্গে সঙ্গেই যথাযথ উপায়ে এবং নিরাপদ ভাবে নষ্ট করে ফেলতে হবে এবং মনে করে তারপরেই ভাল ভাবে নিজের হাত যথাযথ উপায়ে ধুয়ে নিতে হবে
- নিজের মুখ, নাক, ঠোঁট, কান ইত্যাদি অঙ্গে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
- করমর্দন করা, জড়িয়ে ধরা, এবং চুম্বন করা থেকে বিরত থাকুন
- অন্য কারুর ব্যবহার করা কাপ, চিনামাটির থালা বা অন্যান্য যে কোন বাসনপত্র থেকে পান করা বা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- সমস্ত চুল ঢেকে রাখা উচিত। লম্বা চুল বেঁধে রাখা উচিত ও খোঁপা করে নেওয়া প্রয়োজন
- কাজ শুরু করার আগে সমস্ত গয়না এবং হাত ঘড়ি খুলে ফেলুন কারণ কোভিড – ১৯ ভাইরাস বিভিন্ন বস্তুর উপরিতলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে সক্ষম
- যদি আপনি চশমা পরে থাকেন তাহলে নিয়মিত সেটিকে উষ্ণ জল ও সাবান দিয়ে সাবধানে পরিষ্কার করবেন
- যদি সম্ভব হয় তাহলে অ্যাসাইনমেন্টের সময় কনট্যাক্ট লেন্স না ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, কারণ এটি ব্যবহারের ফলে আপনার চোখ স্পর্শ করার দরকার পড়তে পারে এবং এর ফলে আপনার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে
- খেয়াল রাখতে হবে কোন ধরনের পোশাক পরা হচ্ছে, মনে রাখতে হবে যে কিছু কাপড় সহজেই পরিষ্কার করা যায় অন্যান্য কাপড়ের তুলনায়। যে কোন কাজ থেকে ফেরার পর ডিটারজেন্ট সহযোগে অধিক উষ্ণ জলে সমস্ত কাপড় ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে
- যদি সম্ভব হয় তাহলে অ্যাসাইনমেন্টের সময় নগদ অর্থ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং নিয়মিত ভাবে আপনার ক্রেডিট কার্ড / ডেবিট কার্ড, ওয়ালেট, এবং / অথবা টাকা রাখার থলি পরিষ্কার করার বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপে সুনিশ্চিত করুন
- অ্যাসাইনমেন্টের জায়গায় যাওয়া ও থেকে সেখান থেকে ফেরার পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়টি আপনি বিবেচনার মধ্যে রাখুন। যদি সম্ভব হয় তাহলে খুব ভিড় থাকে এমন সময় গণ পরিবহণে যাত্রা করা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং গাড়ি থেকে যখন নামবেন তখন অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করুন
- যদি আপনি নিজের গাড়িতে যান বা সংস্থার গাড়ি ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে কোন সংক্রমিত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে গাড়ির ভেতরেও ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। গাড়ির ভিতরে যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে সে জন্য গাড়ির জানালা খুলে রাখুন ও গাড়ির মধ্যে মুখ ঢাকা দেওয়া বস্ত্র বা মুখের মাস্ক ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রাখুন
- নিয়মিত বিরতি নিন কাজের ফাঁকে, এবং শরীরের অবসাদ বা ক্লান্তির দিকটি খেয়াল রাখবেন, মনে রাখতে হবে ক্লান্ত মানুষের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অধিক ভুল ভ্রান্তি ঘটে। যাদের অনেক পথ কাজে যেতে ও ফিরতে পাড়ি দিতে হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে
Personal Protective Equipment (PPE)
ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম (পি পি ই)
অ্যাসাইনমেন্টের প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে গণ মাধ্যম কর্মীদের নিরাপদ ভাবে রিপোর্ট করতে কেমন ধরনের মেডিকেল পি পি ই পরিধান করার প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে এক বার ব্যবহার যোগ্য দস্তানা, মুখের মাস্ক, নিরাপত্তা মূলক অ্যাপ্রন / ওভারল / বডিসুট এবং এক বার ব্যবহার যোগ্য জুতো আবরণী ইত্যাদি।
মেডিকেল পি পি ই সুরক্ষার সঙ্গে পরা ও খোলার ক্ষেত্রে ভীষণ সতর্কতার সাথে নজর রাখতে হবে এবং সবচেয়ে সুরক্ষিত পদ্ধতি মেনে কাজটি করতে হবে। অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন সি ডি সি থেকে সাধারণ সহায়তা পেতে । যখন পি পি ই খুলবেন তখন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেহেতু এই সময় পারস্পরিক স্পর্শের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। যদি কোনও রকম সন্দেহের অবকাশ থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিন কোনও রকম অ্যাসাইনমেন্টের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ার আগে।
অনুগ্রহ করে খেয়াল রাখুন যে, কোনও কোনও দেশে উন্নত মানের মেডিকেল পি পি ইর সরবরাহে ঘাটতি থাকতে পারে এবং / অথবা সোর্স পাওয়া কঠিন হতে পারে, তাই এই ধরনের উপকরণ ব্যবহারের ফলে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
- যে পি পি ই আপনি ব্যবহার করতে চলেছেন তা আপনার মাপ মতো কিনা সে বিষয়ে সুনিশ্চিত হন। যথাযথ ফিট না হওয়া পি পি ই ছিঁড়ে যেতে পারে এবং / অথবা চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় ( যদি খুব হালকা হয় ) এবং দরজার হাতলে বেঁধে গিয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে ( যদি অতিরিক্ত ঢিলে ঢালা হয়)
- ন্যূনতম প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা মূলক বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দিয়ে সব সময় নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের মেডিকেল পি পি ই ব্যবহার করুন। ত্রুটিপূর্ণ এবং / অথবা নকল পণ্য বিষয়ে সতর্ক থাকুন। কয়েকটি প্রথম সারির ও সুখ্যাত ব্র্যান্ডের নাম এখানে দেখা যেতে পারে
- মেডিকেল চিকিৎসা ফেসিলিটির মতো সংক্রমিত জায়গায় যদি কাজ করেন বা গিয়ে থাকেন তাহলে নিরাপত্তা মূলক দস্তানা ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখুন যে, লেটেক্সের চেয়ে নাইট্রাইল দস্তানা আরও উন্নত মানের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। দুই জোড়া পরিধান করলে নিরাপত্তার বিষয়টি আরও যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ হয়
- মেডিকেল চিকিৎসা ফেসিলিটির মতো উচ্চ ঝুঁকি পূর্ণ জায়গা থেকে যদি আপনি রিপোর্টিং করেন তাহলে অতিরিক্ত মেডিকেল পি পি ই যেমন গোটা শরীরের জন্য বডিস্যুট, পরিপূর্ণ মুখের মাস্ক প্রায় নিশ্চিত ভাবে দরকার পড়বে
- যদি গোটা শরীর ঢাকা আবরণী পরে থাকেন তাহলে নিশ্চিত করুন যে, আগাম পি পি ই পরিধান করার জন্য বিশ্রামাগার ব্যবহার করছেন কিনা
- যদি কোন সংক্রামিত স্থানে যেমন মর্গ বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করেন, আপনার একবার ব্যবহার যোগ্য জুতোর কভার বা ওয়াটারপ্রুফ শু-কভার ব্যবহার করতে হতে পারে, দুটোই আপনাকে ওই স্থান ত্যাগ করার পরই ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যদি আপনি ওয়াটারপ্রুফ শু-কভার ব্যবহার করেন তাহলে সেটাকে সুরক্ষিত ভাবে নষ্ট করে ফেলতে হবে ওই স্থান ত্যাগ করার পূর্বে, আর কখনই যাতে ওটা আবার ব্যবহার না করা হয়। পুরোটাই নির্ভর করছে অ্যাসাইনমেন্টের প্রকৃতির উপর
- সুপারিশ করা হচ্ছে যে, সমস্ত রকম মেডিকেল পি পি ই পরিধান করা / খুলে ফেলা যেন প্রশিক্ষিত পেশাদারের নির্দেশ অনুসারে হয়, এই কারণে যে, এই সময় সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে। সিডিসির এই পরা ও খোলার ভিডিও সাহায্যে আসতে পারে, যদিও প্রশিক্ষণ / নজরদারির বিকল্প হিসাবে একে ব্যবহার করা কখনই উচিত নয়
- এক বার ব্যবহার যোগ্য পি পি ই যেমন দস্তানা, বডিস্যুট, অ্যাপ্রন বা জুতোর আবরণী পুনরায় কখনও ব্যবহার করবেন না। কোনও উপকরণ যদি পুনরায় ব্যবহার করতে হয় তাহলে তা অবশ্যই যথাযথ ভাবে ছোঁয়াচ মুক্ত ও স্যানিটাইজড করে নিতে হবে। কোনও আক্রান্ত এলাকা থেকে চলে আসার আগে সমস্ত ছোঁয়াচ যুক্ত মেডিকেল পি পি ই যথাযথ পদ্ধতি মেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করুন
মুখের মাস্ক
সাধারণ মানুষের মধ্যে গিয়ে, বদ্ধ জায়গায় এবং / অথবা উচ্চতর ঝুঁকি পূর্ণ স্থানে গিয়ে রিপোর্টিং করা মিডিয়া কর্মীদের বিশেষত মুখের মাস্ক যথাযথ ভাবে পরিধান করা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে রাখা ভীষণ জরুরি। আপনার এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত যে, বদ্ধ জায়গায় বাতাসে ভাসমান ভাইরাল ড্রপলেট স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে আর তাই সংক্রমণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।
এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন যে, মুখের মাস্ক যদি যথার্থ ভাবে ব্যবহার করা না হয় তাহলে এই মুখের মাস্ক প্রকৃত পক্ষে সংক্রমণের উৎস হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। ল্যান্সেটের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, সংক্রমণের সাত দিন পরেও চিহ্নিত করা যায় এমন স্তরের সংক্রামক ভাইরাস সার্জিকাল মাস্কে উপস্থিত থেকেই যায়। এই সমীক্ষার উপর নির্ভর করে বলা যায়, মাস্ক খুলে ফেলা বা পুনরায় তা ব্যবহার করা বা মাস্ক পরিধান করার সময় নিজের মুখ স্পর্শ করা সংক্রমণের ঝুঁকিকে বহু গুণে বাড়িয়ে দেয়।
যদি আপনি মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে নিম্নে উল্লেখিত পরামর্শ গুলি আপনার মেনে চলা উচিতঃ
- যদি আপনি কোনও বদ্ধ জায়গায় গিয়ে রিপোর্টিং করেন অন্যের খুব নিকটবর্তী হয়ে বা উচ্চতর কোনও ঝুঁকি পূর্ণ জায়গা থেকে রিপোর্টিং করেন তাহলে আদর্শ ‘সার্জিকাল’ মাস্কের বদলে এন ৯৫ মাস্ক ( বা এফ এফ পি ২ / এফ এফ পি ৩) ব্যবহার করার সুপারিশ করা হচ্ছে
- খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাস্কটি ভাল ভাবে নাক ও থুৎনিতে এঁটে যায়, খুব কম ফাঁক থাকে
- এই বিষয়টি নিশ্চিত করুন যে, নিয়মিত দাড়ি কাটা হয়েছে কিনা যাতে মুখের সঙ্গে মাস্ক ভাল ভাবে এঁটে বসে থাকে
- মুখের মাস্কের সুরক্ষা বিষয়ে নিয়ম গুলি কঠোর ভাবে মেনে চলা জরুরি। মাস্কের সামনের অংশ স্পর্শ করবেন না, যখন খুলবেন তখন স্ট্র্যাপটি ধরে খুলবেন। যদি একান্ত প্রয়োজন না পড়ে তাহলে মাস্ক মুখের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা এড়িয়ে চলা জরুরি। যদি মাস্কের সঙ্গে হাতের স্পর্শ লেগে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধুয়ে ফেলুন
- কখনও মাস্ক পুনরায় ব্যবহার করবেন না এবং সেটিকে সাথে সাথেই সিল করা ব্যাগে ভরে নষ্ট করে দেবেন
- মাস্ক খোলার পর সর্বদা উষ্ণ জল ও সাবান দিয়ে হাত ধোবেন, অথবা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন (যাতে ৬০% এর বেশি ইথানল বা ৭০% এর বেশি আইসোপ্রপানল থাকে)। মাস্ক খুলে ফেলার পর যত দ্রুত সম্ভব সব সময় সাবান ও গরম জল দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
- মাস্কটি স্যাঁতস্যাঁতে হলে বা ভিজে গেলে তার পরিবর্তে নতুন, পরিষ্কার এবং শুকনো মাস্ক ব্যবহার করুন
- মনে রাখবেন মাস্ক হল আপনার সুরক্ষার একটি অংশ মাত্র, যার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই আপনাকে উষ্ণ জল ও সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং মুখ, চোখ, মুখের চারপাশ, কান এবং নাকে কখনই হাত দেবেন না। তুলো বা গজ -এর মাস্ক কখনই কোন অবস্থাতে ব্যবহার করবেন না
- এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন যে মুখের মাস্ক এর সরবরাহ আপনার এলাকা অনুযায়ী কমে যেতে পারে এবং / অথবা এর দামও বাড়তে পারে
উপকরণের নিরাপত্তা
সংক্রমিত উপকরণ থেকে কোভিড – ১৯ ছড়ানোর সম্ভাবনা কার্যত ঘটে থাকে। সব সময় কঠোর ভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও উপকরণ গুলিকে জীবাণু মুক্ত করা ও তা প্রয়োগ করা উচিত :
- যেখানে সম্ভব ক্লিপ মাইক –এর বদলে ডিরেকশনাল ‘ফিসপোল’ মাইক্রোফোন নিরাপদ দূরত্ব থেকে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়মাবলি মেনে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশেই কেবল মাত্র ক্লিপ মাইক্রোফোন ব্যবহার করা উচিত
- প্রতিটি কাজের শেষে মাইক্রোফোনের কভার বেশি উষ্ণতায় ডিটারজেন্ট দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে এবং জীবাণু নাশ করে ফেলতে হবে। কীভাবে নিরাপদ ভাবে কভার খুলবেন সে বিষয়ে সহায়তা / ট্রেনিং চান, যাতে এর থেকে সংক্রমণ হওয়া রোধ করা যায়। যদি সম্ভব হয় তাহলে ‘উইন্ড মাফ’ ধরনের কভার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন যা পরিষ্কার করা কার্যত কঠিন
- যেখানে সম্ভব কম দামের ইয়ারপিস ব্যবহার করুন এবং এগুলিকে এক বার ব্যবহার যোগ্য উপকরণ হিসাবে ধরে নিন, বিশেষত অতিথিদের জন্য যেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। সমস্ত ইয়ারপিস ব্যবহারের আগে ও পরে মুছে নিন ও জীবাণু মুক্ত করে নিন
- কাজের জায়গায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে লং সাইট লেন্স ব্যবহার করুন
- যেখানে সম্ভব তার লাগানো উপকরণের বদলে মোবাইল উপকরণ ব্যবহার করুন
- অ্যাসাইনমেন্টের সময় আপনার উপকরণ কীভাবে গুছিয়ে রাখবেন সেই বিষয়টি বিবেচনা করে রাখুন। কোনও কিছু ছড়িয়ে রেখে চলে আসবেন না এবং কাজের পরে সমস্ত উপকরণ তাদের বাক্সে পুরে রাখুন ও বন্ধ করে দিন ( উদাহরণ স্বরূপ বেশ কয়েক ধরনের শক্ত মোড়ক যুক্ত ফ্লাইট বাক্স, যেগুলি মুছে ফেলা ও পরিচ্ছন্ন রাখা অনেকটাই সহজ )
- যদি কার্য ক্ষেত্রে সম্ভব হয় তাহলে কিছু ধরনের প্লাস্টিকের মোড়ক / নিরাপত্তা বলয় দিয়ে উপকরণ গুলির চার ধারে জড়িয়ে নিন যখন ব্যবহার করবেন। এর ফলে উপকরণের উপরের অংশ যা সহজে সংক্রমিত হতে পারে তার ঝুঁকি কমানো যাবে এবং একে সহজে পরিষ্কার ও জীবাণু মুক্ত করা যাবে
- নিজের সঙ্গে পরিপূর্ণ ভাবে চার্জ দেওয়া ব্যাটারি বহন করুন এবং কাজের জায়গায় গিয়ে কোনও কিছু চার্জ দেওয়া এড়িয়ে চলুন, যেহেতু এগুলি অতিরিক্ত উপকরণ যা সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে
- সমস্ত উপকরণ দ্রুত কাজ করে এমন অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল পদার্থ যেমন মেলিসেপ্টল দ্বারা সংক্রমণ মুক্ত করুন, এরপর সেলফোন, ট্যাবলেট, লেড, প্লাগ, ইয়ারফোন, ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ, ক্যামেরা, প্রেস এর পাস, ঝোলানোর রিবন, ইত্যাদি সবকিছু ভাল ভাবে জীবাণু মুক্ত করে নেবেন
- ফিরে এসে পুনরায় সমস্ত উপকরণকে জীবাণু মুক্ত করতে হবে, মাথায় রাখতে হবে এই উপকরণের দায়িত্বে থাকা কর্মী যেন কিভাবে উপকরণ জীবাণু মুক্ত করবে সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকে এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়। কোন উপকরণ, পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা কর্মীর হাতে না পৌঁছে, এদিক ওদিক ফেলে রাখা না হয় যাতে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে
- যদি কাজের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই যেন ফিরে আসার পর গাড়ির ভেতরের অংশ সঠিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী দ্বারা ভাল ভাবে পরিষ্কার করা হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে, বিশেষ স্পর্শের জায়গা যেমন গাড়ির দরজার হাতল, স্টিয়ারিং হুইল, সামনের কাঁচ, হেলান দেওয়া সীটের অংশ, সীট বেল্ট, ড্যাশবোর্ড, এবং জানলা, উইন্ডার / ক্লাচ / বোতাম প্রভৃতি
বৈদ্যুতিন উপকরণ পরিষ্কার
বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পরিষ্কার বিষয়ে নিম্নে উল্লিখিত পয়েন্টগুলি সাধারণ নির্দেশিকা দিয়ে থাকে। পরিষ্কার করার আগে উপকরণ প্রস্তুতকারকদের নির্দেশিকা ভাল ভাবে পড়ে নেওয়ার বিষয়টি সব সময় নিশ্চিত করুন।
- সকল প্রকার পাওয়ার সোর্স, ডিভাইস ও কেবলকে সব সময় আনপ্লাগ / খুলে নিন
- আপনার বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের কাছ থেকে যে কোনও রকম তরল পদার্থ দূরে রাখুন এবং এরোসল স্প্রে, ব্লিচ ও ঘষার জিনিস ব্যবহার করবেন না — কারণ এগুলি আপনার সরঞ্জাম গুলিকে নিশ্চিত ভাবেই প্রায় নষ্ট করে দিতে সক্ষম
- কেবল মাত্র খসখসে নয় এমন, নরম, রোঁয়া মুক্ত কাপড়ই ব্যবহার করুন
- কাপড়টি একটু ড্যাম্প বা আর্দ্র করে নিন, কিন্তু ভেজাবেন না। কাপড়ে একটু সাবান লাগিয়ে নিন এবং আপনার হাত দিয়ে কাপড়ে সেই সাবান মৃদু ভাবে ঘষে নিন
- বেশ কয়েক বার ডিভাইস গুলি সম্পূর্ণ ভাবে মুছে নিন
- বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের মুখের কাছে খোলার জায়গায় ( যেমন চার্জিং সকেট, ইয়ারফোন সকেট, কি বোর্ড) কোনও রকম আর্দ্র জিনিস আনবেন না
- পরিষ্কার, শুকনো ও নরম কাপড় দিয়ে আপনার ডিভাইস শুকিয়ে নিন
- নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তুতকারকরা সুপারিশ করেন ৭০ শতাংশ আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল যা দিয়ে যে কোনও শক্ত ও ছিদ্র হীন উপরিতলকে মুছে পরিষ্কার করা যায়
- যদি আপনার সরঞ্জাম জীবাণু মুক্ত করেন তাহলে সব সময় প্রস্তুতকারকদের নিকট থেকে জেনে নিন, যেহেতু যা দিয়ে জীবাণু মুক্ত করবেন তা আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে
আরও বিস্তারিত নির্দেশিকা পাওয়া যেতে পারে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
ডিজিটাল সুরক্ষা
- সাংবাদিকরা সতর্ক থাকুন কোভিড – ১৯ জনিত প্রাদুর্ভাব নিয়ে রিপোর্টিং করার ক্ষেত্রে অনলাইনে শত্রুভাবাপন্নতার যে মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেই বিষয়ে। যে ব্যক্তিরা টিকার বিরোধী বা মাস্ক পরিধান করার বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে দুর্ব্যবহার আসতে পারে। এই সব আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি সি পি জে –এর বেস্ট প্র্যাকটিসের পর্যালোচনা করতে পারেন
- সরকার ও বিভিন্ন প্রযুক্তি কম্পানির তত্ত্বাবধানে কোভিড – ১৯ এর ছড়িয়ে পড়াকে চিহ্নিত করে রাখছে ও নজরদারি চালাচ্ছে। এর মধ্যে এন এস ও গ্রুপ পেগাসাস তৈরি করেছে, সিটিজেন ল্যাব –এর সূত্রানুযায়ী, একটি স্পাইওয়্যার যা ব্যবহৃত হচ্ছে সাংবাদিকদের নিশানা করার জন্য । সিভিল লিবারটিজ গ্রুপ ভীষণ ভাবে উদ্বিগ্ন, এই স্বাস্থ্য সংকট থেকে মুক্তি লাভের পর কিভাবে এই নজরদারির প্রযুক্তিকে নির্দিষ্ট মানুষের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে এর অগ্রগতিকে চিহ্নিত করছে
- রিপোর্ট মোতাবেক, টিকাকরণের অভিযান সাধারণ ভাবে হওয়ার জন্য এর সঙ্গে যুক্ত স্ক্যাম দিয়ে এই একটানা স্বাস্থ্য সংকটের সময়কে ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি ও সংস্থাকে নিশানা করছে অপরাধীরা। কোভিড – ১৯ ও টিকা সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত ডকুমেন্ট ডাউনলোড করার বিষয়ে ও লিঙ্কে ক্লিক করার আগে আপনি একবার থামুন ও ভেবে নিন। ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের মতে, বিধিসম্মত সতর্কীকরণ যে, সোশ্যাল মিডিয়া বা ম্যাসেজিং অ্যাপে যে কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত লিংক আসছে, তা ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ডিভাইসকে ম্যালওয়্যারটি সরাসরি আক্রান্ত করতে পারে
- দ্য গার্ডিয়ান –এর রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু রাজ্যও যে ভুল তথ্য দিচ্ছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন, এছাড়াও কিছু সাধারন ভুল তথ্যও আছে, যার সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে ডাব্লিউ এইচ ও –ও সতর্ক করেছে এবং যেটা বি বি সি –ও নজরে এনেছে। এছাড়া ডাব্লিউ এইচ ও –র ওয়েবসাইটে মিথ বাস্টার গাইড উপলব্ধ আছে
- অনলাইন কনফারেন্সিং ও প্রাইভেসি বিষয়গুলিকে ভাল ভাবে পড়ে নিন যাতে আপনি সতর্ক থাকতে পারেন যে আপনার তথ্য গুলিকে নিয়ে এই পরিষেবা মূলক সংস্থা গুলি কী করছে, তাদের কোন কোন বিষয়ে অ্যাকসেস রয়েছে এবং তা কতটা নিরাপদ। সতর্ক থাকুন যে, যেহেতু বাড়ি থেকে কাজ করা মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে তাই এই পরিষেবা গুলি হ্যাকারদের দ্বারা নিশানাকৃত হচ্ছে
- এছাড়াও সতর্ক থাকুন যদি আপনি কিছু একনায়কতান্ত্রিক দেশে প্রতিবেদন করতে যান, কোভিড – ১৯ –এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করা হচ্ছে, যেটা আপনার জন্য ঝুঁকি পূর্ণ। সি পি জে এই বিষয়টি সামনে এনেছে যে কিছু সরকার এই রোগের প্রাদুর্ভাবকে লুকোনোর প্রচেষ্টা করছে আর সেই মতো সংবাদ মাধ্যমকে সেন্সর করে দেওয়া হয়েছে
অ্যাসাইনমেন্টের সময় অপরাধ ও শারীরিক নিরাপত্তা
- আপনি যদি কোন আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্টে যান ( নিচে দেখুন ), তাহলে সেখানকার সাম্প্রতিক নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে তবেই যাবেন। খেয়াল রাখুন যে, সেখানে তীব্র হিংসার ঘটনা ও আন্দোলন হচ্ছে কিনা কারণ অতিমারির সময় থেকে বিশ্বের নানা জায়গায় এমনটা ঘটছে। কিছু গণ মাধ্যম কর্মী রিপোর্ট করতে গিয়ে মৌখিক ভাবে হেনস্থা ও অপরাধ মূলক আচরণের শিকার হওয়ায় আপনি নিরাপত্তাকে অমূলক সহজ ও সহজাত মনে করবেন না
- বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকুন গ্রামীণ এলাকা থেকে রিপোর্ট করার সময়। মানুষ সেখানে সন্দেহ প্রবণ হতে পারে এবং / অথবা আপনি সংক্রমিত হতে পারেন এই ভয়ে ‘বহিরাগত’দের প্রতি তারা শত্রুভাবাপন্ন হতে পারে
- কোভিড – ১৯ জনিত লকডাউনের কারণে পুলিশের কাছ থেকে কঠোর হাতে দমন পীড়ন, শারীরিক আক্রমণের বিপদ ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন
- সি পি জে দৃষ্টিগোচরে এনেছে যে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলিতে কোভিড – ১৯ –এর প্রাদুর্ভাব নিয়ে রিপোর্ট করতে যাওয়া সাংবাদিকদের অনেক সময় আটক, গ্রেফতার এবং / অথবা তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
আন্তর্জাতিক ভ্রমণ অ্যাসাইনমেন্ট
বিশ্বব্যাপী ভ্রমণে সীমাবদ্ধতার কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এখন খুবই সমস্যার এবং দিন দিন বিরল হয়ে যাচ্ছে। যদি বিদেশে কোন অ্যাসাইনমেন্ট থাকে তাহলে নিচে দেওয়া বিষয়গুলি মেনে চলতে হবেঃ
- আপনি যেখানে যেতে চলেছেন সেখানে সাম্প্রতিক এবং / অথবা আগামীর ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধি ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দেখে নিন যা অল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে বা কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বদল হতে পারে
- একটি দেশের নানা স্থানে লকডাউন এবং / অথবা কার্ফ্যুর নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। খেয়াল রাখুন যে, অল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তি বা কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই স্থানীয় ভাবে লকডাউন ঘোষণা হতে পারে, তাই কোনও দেশের মধ্যে চলাচলের বিধি নিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় সংবাদ সূত্রের দিকে নজর রাখুন
- কোন দেশে আপনি যাচ্ছেন ও কোন দেশ থেকে ফিরে আসছেন তার উপর নির্ভর করছে কোয়ারান্টাইন সংক্রান্ত নিয়মাবলি প্রযুক্ত / পরিবর্তন হয়েছে কিনা এবং তা অল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে বা কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই
- মেডিকেল পি পি ইর অ্যাকেসেস সীমাবদ্ধ হতে পারে, নাও পাওয়া যেতে পারে এবং / অথবা গুণ মান নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। কোনও কাজের আগে সব সময় ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিন এগুলি পাওয়া যাচ্ছে কিনা এবং যদি প্রয়োজন পড়ে নিজের সঙ্গে তা নিয়ে রাখুন
- কোনও অ্যাসাইনমেন্টে যাওয়ার আগে যদি সম্ভব হয় তাহলে কোভিডের টিকা নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক টিকাও নিয়ে রাখুন এবং আপনার গন্তব্যে রোগ প্রোফাইল্যাক্সিস আপ টু ডেট রয়েছে কিনা দেখে নিন
- আপনার ভ্রমণ সংক্রান্ত বীমা পলিসিটা ভাল করে দেখে নেবেন। বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন স্তরের ভ্রমনের পরামর্শ সূচি জারি করেছে এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য কিছু সতর্কতা নিয়েছে। সতর্ক থাকুন কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য ভ্রমণ সম্ভব নাও হতে পারে
- বিশ্ব জুড়ে বহু সীমান্ত এলাকা বা বর্ডার বন্ধ রাখা হচ্ছে। যে বর্ডার গুলি পুনরায় খোলা হচ্ছে তা কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই আবার বন্ধ করা হতে পারে। তাই আপনার পূর্ব পরিকল্পনা এতে পরিবর্তন বা ব্যাহত হওয়ায় এর অন্য রকম ভূমিকা রয়েছে
- যদি আপনি অসুস্থ থাকেন তাহলে আপনি ভ্রমণ করবেন না। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বা আন্তঃদেশীয় বিমানবন্দর এবং পরিবহনের ক্ষেত্রগুলিতে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষণ হচ্ছে। ভ্রমণকারীদের এই পরীক্ষণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এবং জোর করে কোয়ারেন্টাইন বা সেলফ আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে
- খেয়াল রাখুন যে, কোভিড – ১৯ -এর কারণে বহু বিমান সংস্থা আর্থিক সংকটে ভুগছে, এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদ প্রতিবেদন। তাই সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত যোগ্য বিমানের টিকিট কেনার কথা বিবেচনা করে দেখুন
- আপনার গন্তব্যের সাম্প্রতিক ভিসা পরিস্থিতি ভাল করে দেখে নিন, কারণ বহু দেশ ভিসা ইস্যু করা বন্ধ করে দিয়েছে
- দেখে নিন যে, আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানে আপনি কোভিড – ১৯ মুক্ত কিনা তা প্রমাণ করার জন্য মেডিকেল শংসাপত্র প্রয়োজন পড়ছে কিনা
- আপনার যেখানে উপস্থিত হওয়ার পরিকল্পনা আছে, সেখানে যাওয়ার আগে পরিস্থিতি যাচাই করুন। কারণ বেশিরভাগ দেশ জনসমাবেশ বা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক লোকের বেশি জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ করেছেন
- আপনার যেখানে পৌঁছনোর কথা সেখানকার বিভিন্ন পরিবর্তনের বিষয়ে খোঁজ রাখুন। মনে রাখুন কিছু দেশ বিদেশীদের শুধুমাত্র কয়েকটি এয়ারপোর্ট এবং টার্মিনালে ঢুকতে দিচ্ছে
- অবশ্যই আপনার ভ্রমণ সূচি নমনীয় রাখবেন কারণ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিমান বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষণ এবং দেহের তাপমাত্রা দেখার জন্য বেশ কিছু সময় লাগবে। প্রতিটি স্টেশনে, ডকে এবং দূরগামী বাস টারমিনাস গুলোতে একই ঘটনা ঘটবে
অ্যাসাইনমেন্ট পরবর্তী
- আপনার ক্রমাগত স্বাস্থ্যের নিরীক্ষণ করতে হবে যদি কোন চিহ্ন বা লক্ষণ দেখা যায়।
- আপনি যদি কোন অতি সংক্রামিত জায়গা থেকে ফেরেন তাহলে অবশ্যই সেলফ – আইসোলেশনে যাবেন। দয়া করে সম্পর্কিত সরকারি আদেশ দেখে নেবেন
- কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত সাম্প্রতিকতম অবস্থা এবং তথ্যের নিরীক্ষণ করুন, এছাড়াও কোন কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনের ঘটনা ঘটছে কিনা আপনার এলাকায় এবং আপনার গন্তব্যে সেটাও যথাযথ ভাবে দেখুন
- আপনি যে দেশে আছেন সেখানকার সংক্রমিত হবার হার অনুযায়ী, আপনাকে একটা নথি রাখতে হবে, যেখানে আপনি এই চৌদ্দ দিনে যাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের নাম / নাম্বার গুলি থাকবে। আপনার মধ্যে কোন লক্ষণ দেখা দিলে এটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করবে
যদি আপনার মধ্যে লক্ষণ দেখা যায়
- যদি আপনার মধ্যে কোভিড – ১৯ –এর কোন লক্ষণ দেখা যায় বা তৈরি হয়, সেটা খুব কম হলেও আপনি আপনার ম্যানেজমেন্ট টীমকে জানাবেন, এবং তার সাথে যথাযথ পরিবহনে এয়ারপোর্ট বা কোন টারমিনাস থেকে বাড়ি ফিরবেন। কোন ট্যাক্সি করে নয়
- অবশ্যই ডাব্লিউ এইচ ও, দ্য সি ডি সি, এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশ মেনে চলবেন। এবং নিজেকে ও সমাজকে সুরক্ষিত রাখবেন
- যখন থেকে আপনার লক্ষণ শুরু হয়েছে, তখন থেকে অন্ততঃ ৭ দিন বাড়ির বাইরে বেরবেন না। এটা আপনার সমাজকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করবে
- পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবেন ও অন্যদের সাহায্য নেবেন। আপনার অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের জন্য আপনার কর্মকর্তা, বন্ধু এবং পরিবারের লোকেদের সাহায্য নেবেন এবং তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না
- যদি আপনাকে অন্যের সাথে থাকতে হয় তাহলে সবাইকে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে । এই ক্ষেত্রে এখানে একটি নির্দেশ দেওয়া হল। অবশ্যই যখন বাথরুম, টয়লেট, ও রান্নাঘর ব্যবহার করবেন, তখন কিছু নির্দেশ মেনে চলতে হবে যাতে সংক্রমণ আপনার থেকে ছড়িয়ে না পড়ে ।
- যেখানে সম্ভব আপনার বাড়িতে অন্যান্য লোক জনদের থেকে সুপারশিকৃত দূরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে একা শোবেন
সি পি জে অনলাইনে ‘সেফটি কিট’ দিচ্ছে যাতে কিছু প্রাথমিক সুরক্ষার তথ্য যেমন শারীরিক, ডিজিটাল এবং মানসিক তথ্যের সাধন ও সংস্থান রয়েছে সাংবাদিক এবং নিউজ রুমে যারা থাকবেন তাদের জন্য, এর সাথেই সামাজিক অস্থিরতা ও নির্বাচনের দিকটিও রয়েছে ।
[সম্পাদকের বয়ান: এই নির্দেশিকা মূলত প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এবং বারবার তা পরিবর্তন করা হয়েছে। শীর্ষে উল্লেখিত প্রকাশের তারিখ কার্যত সাম্প্রতিকতম আপডেটকে সূচিত করে।]