ভারতে নির্বাচন ২০২৪: সাংবাদিক সুরক্ষা নির্দেশিকা

৮ জুলাই ২০২৩ কলকাতার উপকণ্ঠে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত বা স্থানীয় কোন নির্বাচনে নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন পাহারা দিচ্ছেন এক আধাসামরিক জওয়ান (এ এফ পি / দিব্যাংশু সরকার)

২০২৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (ভাজপা) টানা তৃতীয় বার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে জিততে চাইছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভারতের ষাট কোটির বেশি মানুষের বিশাল নির্বাচক মন্ডলী তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সিপিজে-র ইমারজেন্সিস রেসপন্স টিম (ই আর টি) ভারতের নির্বাচনে প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের জন্য একটি সুরক্ষা নির্দেশিকা রচনা করেছেন। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সম্পাদক, সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা কীভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন এবং কীভাবে ডিজিটাল, শারীরিক ও মানসিক ঝুঁকি কমানো যাবে। 

ভারতে বিগত বেশ কিছু বছর যাবৎ সাংবাদিকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ,  সেন্সর করার প্রচেষ্টা ও প্রতিবেদন নিয়ন্ত্রণ দেখা যাচ্ছে, বিশেষত যখন স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয় জড়িত থাকে। গত সাধারণ নির্বাচনের প্রবণতা ও গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আর্মড কনফ্লিক্ট এন্ড লোকেশন ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এ সি এল ই ডি) প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে শারীরিক নিগ্রহ, জনতার উত্তেজনা ও হিংসাত্মক বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে সাংবাদিকদের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ট্রোলিং, অনলাইন হয়রানি,  সাইবার গুন্ডামি (বুলিং) আর ডিজিটাল নজরদারির বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা নিজেদের রক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সম্মিলিত আক্রমণের কারণে  সংবাদকক্ষ ও গোটা মাধ্যমকে মানসিক পীড়ণ সহ্য করতে হচ্ছে।

 সূত্র:  আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এন্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এ সি এল ই ডি); www.acleddata.com

এ সি এল ই ডি তথ্যপঞ্জি একটা ঘটনা ভিত্তিক তথ্যপঞ্জি যাতে রাজনৈতিক হিংসা, বিক্ষোভের বিভিন্ন ঘটনা এবং গোটা বিশ্বের নির্বাচন সম্পর্কিত অহিংস ঘটনাসমূহ সন্নিবিষ্ট। এ সি এল ই ডি তথ্যপঞ্জি তাৎক্ষণিক সংগৃহীত তথ্য যা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়। এই তথ্যপঞ্জিতে ঘটনার ধরণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ, স্থান, তারিখ এবং অন্যান্য বিশেষত্বের বিস্তারিত বিবরণ থাকে। এ সি এল ই ডি পদ্ধতি সম্পর্কে আরো বিশদ তথ্যের জন্য দয়া করে এ সি এল ই ডি কোড বুক  দেখুন।

তথ্য প্রদর্শনের পটভূমির কুনাল মজুমদার কৃত ব্যাখ্যা

সূত্র:  আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এন্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এ সি এল ই ডি); www.acleddata.com

 এ সি এল ই ডি তথ্যপঞ্জি ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসা, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের ঘটনা তুলে ধরে। একই সঙ্গে, সেই সময়কার সি পি জে তথ্য ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন, সাংবাদিকদের প্রতি শারীরিক নিগ্রহ ও আক্রমণের বৃদ্ধি নির্দেশ করে। 

উদাহরণ স্বরূপ, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছত্রিশগড়ে ভারতীয় জনতা দল (ভাজপা)-র তথাকথিত সমর্থকরা দলীয় কর্মীদের মধ্যে মারামারির দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করার জন্য এক  সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়। .২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তামিলনাড়ুতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের তথাকথিত কিছু সমর্থক দলীয় নির্বাচনী সভায় খালি চেয়ারের ছবি তোলার জন্য এক চিত্র সাংবাদিকের উপর চড়াও হয়

 ৬ই মে, ২০১৯ তারিখে সংগৃহীত সিপিজে তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ সহ বিভিন্ন ঘটনার সংখ্যা ভীতিজনক। ক্ষমতাসীন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী ভাজপা দলের সমর্থকদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ ঘটে বারাকপুরে। এইসব ঘটনার প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়, এমন কি তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত এই ধরনের আক্রমণ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।

এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতেই থাকে যেখানে রাজনৈতিক হিংসার কারণে সাংবাদিকদের বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় যাতে তাঁদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন কর্মপদ্ধতি ব্যাহত হতে থাকে।

এ সি এল ই ডি তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী বছর গুলিতে উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক ও মনিপুর সহ ভারতের অন্য রাজ্যেও হাতাহাতির সংখ্যা বেড়ে যায়। মে ২০১৯ থেকে সংগৃহীত সিপিজে তথ্যেও দেখা যায় এই রাজ্যগুলিতে হিংসা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ২০১৯ থেকে নিহত ১১ জন সাংবাদিকের মধ্যে চারজন উত্তর প্রদেশে নিহত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটকের হাসান জেলায় বেআইনি গোবধ কেন্দ্র সম্পর্কে খবর করার কারণে উত্তেজিত জনতা এক মহিলা সাংবাদিককে আক্রমণ করে। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে মহিশুরে দক্ষিণপন্থী প্রতিবাদীদের বক্তৃতা রেকর্ড করার কারণে এক সাংবাদিককে নিগৃহীত হতে হয়। সংবাদ  সংগ্রাহকদের ওপর  এই বেড়ে চলা আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষত রাজনৈতিক উত্তেজনাপ্রবণ পরিবেশে সংবাদ প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং সাংবাদিকদের সততা বজায় রাখতে অতিরিক্ত মনোযোগ ও তৎপর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সুরক্ষা নির্দেশিকা সূচি:

প্রতিকূল পরিবেশে কর্মীকে পাঠাবার আগে সম্পাদকের সুরক্ষাবিধি তালিকা

প্রস্তুতি পর্ব থেকে নির্বাচন পর্যন্ত অনেক সময় সম্পাদক ও সংবাদকক্ষ সাংবাদিকদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে থাকে। কর্মীদের ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও পদক্ষেপগুলি এই তালিকায় আছে।

ঝুঁকির পরিমাপকরণ ও পরিকল্পনা সম্পর্কে আরো তথ্যের জন্য সিপিজে রিসোর্স সেন্টার দেখুন।

 ডিজিটাল সুরক্ষা: মূলকথা

অনলাইন কাজ করার সময় ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় অধিক নিরাপদ থাকার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষার মূল বিষয়গুলি জানা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সম্পর্কে প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের জন্য নিম্নলিখিত অনুশীলনগুলি সবচেয়ে ভালঃ

 আপনার অ্যাকাউন্টগুলি সুরক্ষিত করুন
 ফিশিং-এর বিরুদ্ধে আরো ভালো সুরক্ষা

 আরো বিশদ তথ্যের জন্য সিপিজের ডিজিটাল সুরক্ষা নির্দেশিকা পড়ুন।

 ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে শুক্রবার সংসদ থেকে বহিষ্কার করার পর ২৪ মার্চ, ২০২৩ দিল্লিতে তাঁর বসত বাড়ির সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের জমায়েত। রয়টার / অনুশ্রী ফড়নবিশ

ডিজিটাল সুরক্ষাঃ মূল যন্ত্র প্রস্তুতি

 নির্বাচনকালীন প্রতিবেদনের সময় খবর পাঠাতে, ঘটনার বিবরণ নথিবদ্ধ করতে বা সহকর্মী ও সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাংবাদিকরা তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন। যদি সাংবাদিকদের আটকে রাখা হয় আর তাঁদের ফোন আটক করা হয় বা ভেঙ্গে ফেলা হয় তবে ডিজিটাল সুরক্ষার বিষয়টি এসে পড়ে। নিউজ রুম (সংবাদকক্ষ) হানা দেওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে যাতে কম্পিউটার সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি আটক করা হতে পারে।

নিজেকে অধিকতর সুরক্ষা দিতেঃ

 ডিজিটাল সুরক্ষাঃ স্পাইওয়ার ও ডিজিটাল নজরদারি

সিটিজেন ল্যাব ও সি পি জে সাক্ষাৎকার সমূহের গবেষণা অনুযায়ী ভারতের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পেগাসাস সহ অন্যান্য সমণ্বিত স্পাইওয়ার অভিযান ব্যবহারের অভিযোগ আছে। আপনার ফোনে একবার স্থাপন করা হলে পরিশীলিত স্পাইওয়ার এনক্রিপটেড বার্তা সহ সব কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে পারে। ইজরায়েল ভিত্তিক এন এস ও গোষ্ঠী বলে যে নজরদারির উপকরণ হিসেবে পেগাসাস  বিক্রয় করা হয় শুধুমাত্র সরকার সমূহের কাছে, আইন প্রয়োগের জন্য এবং তারা সিপিজে-কে বার বার বলেছে যে তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে তাদের পণ্য চুক্তিভঙ্গ করে অপব্যবহার করা হয়েছে।

আপনার যন্ত্রসমূহের অধিক সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করুনঃ 

যদি আপনার মনে হয় আপনার যন্ত্রে স্পাইওয়ার বাসা বেঁধেছেঃ

পেগাসাস স্পাইওয়ার সম্পর্কে আরো পড়ুন আমাদের অ্যাডভাইসারিতে

ডিজিটাল সুরক্ষাঃ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ

নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং তাতে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর গভীর প্রভাব পড়ে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ বা সীমাবদ্ধ থাকলে সাংবাদিকরা সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না, তথ্য যাচাই করতে বা ঘটনা নথিবদ্ধ করতে পারেন না। ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ থাকা ও সংবাদমাধ্যমের ওপর তার প্রভাব সিপিজে নথিভুক্ত করেছে।

বন্ধ থাকার প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করুনঃ

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা সম্পর্কে আরো তথ্যের জন্য সিপিজে-র গাইড পড়ুন ।

৬ আগস্ট, ২০২৩ বান্দিপোরা-তে একজন ভারতীয় সৈনিক ওয়াসিম আহমেদ-এর অন্তিম সরকার অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের পাশে এক গ্রামবাসী মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন । তওসিফ মুস্তাফা / এএফপি

ডিজিটাল সুরক্ষাঃ অনলাইন হয়রানি ও উদ্দিষ্ট অনলাইন প্রচার

উদ্দিষ্ট অনলাইন প্রচার সহ অনলাইন হয়রানি নির্বাচনের সময় বেড়ে যেতে পারে। অনলাইন আক্রমণকারীরা, যারা সাংবাদিকদের ও তাঁদের কাজকে কলঙ্কিত করতে চান, প্রায়ই সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের নিশানা করেন। প্রায়ই হয়রানি ও অপপ্রচার চলতে থাকে যাতে কোন সাংবাদিক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার না করতে পেরে অফলাইন থাকতে বাধ্য হন। বিশেষত মহিলা সাংবাদিকগণকে নিশানা করা হয় এবং তাঁরা নারীবিদ্বেষী ও হিংসাত্মক যৌন হয়রানির শিকার হন। ভারতে মহিলা সাংবাদিকদের প্রতি এই ধরনের হয়রানির বেশ কিছু ঘটনা সিপিজে নথিভুক্ত করেছে। অনলাইন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ নয়। তবু, কিছু পদক্ষেপ সাংবাদিকরা নিতে পারেন যাতে তাঁরা নিজেদের ও তাঁদের অ্যাকাউন্টগুলিকে রক্ষা করতে পারেন।

 নিজেকে আরো ভালোভাবে রক্ষা করতে

আক্রমণের সময়ঃ

 অনলাইন হয়রানির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করা সম্পর্কে আরো বিশদ তথ্যের জন্য সিপিজে-র রিসোর্সেস ফর প্রোটেকটিং এগেইনস্ট অনলাইন অ্যাবিউজ পড়ুন।

শারীরিক সুরক্ষাঃ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভার খবর করার সময় সুরক্ষা বিধি

 নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের প্রায়ই সমাবেশ, প্রচার সভা, সরাসরি সম্প্রচার বা প্রতিবাদের সময় ভিড়ের মধ্যে কাজ করতে হয়।

 ঝুঁকি কমানোর জন্য:

রাজনৈতিক ঘটনা ও সমাবেশ
 প্রতিবাদ আন্দোলন

প্রতিবাদ আন্দোলনের খবর করার সময় ঝুঁকি ন্যূনতম করতে:

কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগের সময় ঝুঁকি কমাতে:

 ভারতে সাংবাদিকরা প্রতিবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রমণ মোকাবিলায় নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করুন:

 শারীরিক সুরক্ষা: বিরোধী জনগোষ্ঠীর মধ্যে খবর করার সময় সুরক্ষা বিধি

সাংবাদিকদের মাঝে মাঝেই সংবাদমাধ্যম ও বহিরাগতদের প্রতি বিরোধীভাবাপন্ন স্থানে বা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিবেদন করতে হয়। এরকম ঘটতে পারে যদি কোন সম্প্রদায় মনে করে যে সংবাদ মাধ্যম যথাযথভাবে তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন না বা তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিবেদন করে। নির্বাচনের প্রচারের সময় সাংবাদিকদের দীর্ঘ সময় ধরে এমন সম্প্রদায়ের মধ্যে কাজ করতে হয় যারা সংবাদমাধ্যম বিরোধী।

 ঝুঁকি কমাতে যা সাহায্য করবে:

  • আপনার গাড়ি বেরোবার জন্য তৈরি অবস্থায় রাখুন, ভাল হয় যদি চালক গাড়িতে থাকেন।
  • যদি গাড়ি থেকে দূরবর্তী জায়গায় আপনাকে কাজ করতে হয়, জেনে রাখুন কীভাবে সেখানে ফিরে যাবেন। কয়েকটি ল্যান্ডমার্ক চিহ্নিত করে রাখুন এবং সেই তথ্য সহকর্মীদের জানান।
  • জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে কোথায় যেতে হবে জেনে রাখুন এবং নিষ্ক্রমনের কৌশল ঠিক করে রাখুন।
৭ নভেম্বর, ২০২৩ ভারতের মনিপুর রাজ্যের ইমফলে প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির নতুন ঘটনার পর মেইতেই সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়িকে গুলিবর্ষণের স্থানে যাওয়া থেকে বিরত করছে। রয়টার / স্ট্রিনজার

 মানসিক সুরক্ষা: সংবাদ কক্ষে মানসিক আঘাত নিয়ন্ত্রণ

 প্রতিবেদন ও পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত মর্মপীড়া এবং যখন মানসিক আঘাত সম্পর্কে আপনার চিন্তা করা উচিত তার মধ্যে আছে:

কর্তৃপক্ষের উচিত এই সময় কর্মীদের পথ দেখানো এবং তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেওয়া। নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে প্রয়োজনে সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত। ঘটনার তীব্রতার উপর নির্ভর করছে এই নির্দেশিকা কতটা অনুসরণ করতে হবে।

 এই সময়ে:

মানসিকসুরক্ষাঃমানসিক আঘাতজনিতচাপসামলানো

পীড়াদায়ক ঘটনার প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পি টি এস ডি) (মানসিক আঘাত পরবর্তী চাপজনিত বৈকল্য) একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

ঐতিহ্যগতভাবে, বিবাদস্থলে বা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে বা অত্যন্ত ভীতিজনক অবস্থায় কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সমস্যাটি সম্পর্কিত। ইদানিং কালে দেখা যাচ্ছে পীড়াদায়ক ঘটনার প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকরা পি টি এস ডি-র লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। গালাগালি বা হিংসা (অপরাধ দৃশ্যের প্রতিবেদন, ফৌজদারি আদালতের মামলা বা ডাকাতি) বা প্রচুর জীবনহানির ঘটনা (গাড়ি দুর্ঘটনা / খনি দুর্ঘটনা) সবই প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের ওপর মানসিক আঘাতের সম্ভাব্য কারণ। যাঁদের অনলাইন গালিগালাজ বা ট্রোল করা হয় তাঁরা চাপজনিত মানসিক আঘাতের শিকার হতে পারেন।

সেন্সরবিহীন বিষয়বস্তু ডিজিটাল জগতে সামনের সারিতে চলে এসেছে। এখন লক্ষ করা যাচ্ছে, মৃত্যু ও বীভৎসতার চিত্রাবলী দেখা সাংবাদিক ও সম্পাদকরা মানসিক আঘাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই দ্বিতীয় শ্রেণীর মানসিক আঘাতকে বলা হয় অপ্রত্যক্ষ মানসিক আঘাত।

 সব সাংবাদিকের বোঝা জরুরি যে ভীতিপ্রদ ঘটনা / ছবি দেখে মানসিক চাপ অনুভব করা একটি সাধারণ মানবিক প্রতিক্রিয়া। এটি কোন দুর্বলতা নয়।

প্রত্যেকের জন্যঃ

 সম্পাদনা কর্মীদের জন্যঃ

 ঘটনাস্থলে কর্মরতদের জন্যঃ

 যদি অভিঘাত বিশেষ তীব্র হয়ঃ

সাংবাদিকদের সহায়তার প্রয়োজন হলে emergencies@cpj.org-র মাধ্যমে সিপিজে এমার্জেন্সিস-এর সঙ্গে বা kmajumder@cpj.org-র মাধ্যমে ভারতে সিপিজে-র প্রতিনিধি কুনাল মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। নির্বাচনকালীন সাংবাদিক সুরক্ষা বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য দেখুন সাংবাদিক সুরক্ষা: নির্বাচন

Exit mobile version